এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, লামাঃ
ফুলঝাড়ু কিনতে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলাস্থ ভৈরব পৌরসভা টিনবাজার এলাকার বাসিন্দা হীরা লাল দাস এর ছেলে চন্দন দাস (৪৮)সহ একই এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ লিটন সিকদার নামের আরেকজন ব্যাক্তি গত২২ জানুয়ারি লামা উপজেলার লামা বাজারে আসেন।
তারা দুইজনই লামা বাজারের সোনালী ব্যাংকের নিচে হোটেল প্রিজনের ১০৫ নং রুম বুকিং নেয়। চন্দন দাস উলু ফুল কিনার জন্য পর দিন বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী লিটন সিকদারকে সাথে নিয়ে লামা ইসলামী ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে দু'জনই পূঃনরায় হোটেলের রুমে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে চন্দন দাস বার্থ রুমে গোসল করতে ঢুকেন। ওই সুযোগে বাহির থেকে বার্থরুম ও মুল রুমের হুক লাগিয়ে দিয়ে মোঃ লিটন সিকদার চন্দন দাসের ব্যাগে রক্ষিত ৬ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। গোসল শেষে চন্দন দাস দরজা খুলতে গেলে দেখে দরজাটি অপরদিক থেকে হুকমারা অবস্থায় আছে। পরে দরজার হুক ভেঙে বের হয়ে দেখতে পায় তার টাকাসহ রুমে থাকা লিটন সিকদারও রুমে নেই। এর পর মূল কক্ষের দরজার শব্দ শুনে হোটেলের বয় এগিয়ে এসে দরজা খুলে দেয়। বের হয়ে চন্দন দাস চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে লিটন সিকদারকে না পেয়ে অবশেষে হোটেলের ষ্টাপকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখাতে বলে চন্দন দাস। সিসি ফুটেজে দেখা যায়, বিকাল ৫: ১৭ মিনিটে লিটন সিকদার হোটেল থেকে বাহির হয়ে বোর্ডিংয়ের বাহির সড়ক দিয়ে একটি ব্যাগ হাতে তড়িগড়ি করে চলে যাচ্ছে।
এদিকে চন্দন দাসের কাছে ছিলো লিটন সিকদারের আইডি কার্ডের একটি ফটোকপি। এখান থেকে লিটন সিকদারের ঠিকানা হলো, বাসা/হোল্ডিং: ১২০/১, গ্রাম/রাস্তা: পশ্চিম দেওভোগ, ডাকঘর: নারায়নগঞ্জ - ১৪০০, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ।
আইডি কার্ডে এ ঠিকানা থাকলেও বিভিন্ন দলিল ও ডকুমেন্ট সূত্রে জানাযায়, তার পৈত্রিক বাড়ি পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার নেসারবাদ নামক এলাকায়। তার পিতার নাম মোঃ আলী হোসেন সিকদার।
বিষয়টি নিয়ে ২৫ জানুয়ারি,২০২৫ইং তারিখ রাতে প্রতারক লিটন সিকদারের নামে লামা থানায় অভিযোগ করেছেন চন্দন দাস।