এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, লামাঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলায় শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট- ২০২৫ ঘোষনা করা হয়েছে। টুর্নামেন্টটি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী লামা চাম্পাতলী মাঠে উদ্ভোধন হবে।
“শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫” টুর্নামেন্টটি উদ্ভোধন করবেন বান্দরবান জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন এর আহবায়ক ও বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা।
লামা উপজেলায় শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট- ২০২৫ পরিচালনা কমিটি যারা দায়িত্ব নিলেন, আহবায়ক- মোঃ আইয়ুব আলী কোম্পানী, সদস্য সচিব সাফায়েত হোসেন রাসেল, সিঃ যুগ্ন আহবায়ক-মোঃ সেলিম রেজা, যুগ্ন আহবায়ক- মোঃ নুরুল আমিন, যুগ্ন আহবায়ক-চৌধুরী মোঃ সুজন, যুগ্ন আহবায়ক-ইয়াছিন আরাফাত বুলবুল, সদস্য- মোঃ শফিকুল ইসলাম,সদস্য- মোঃ ওমর ফারুক,সদস্য- মোঃ সাদ্দাম হোসেন,
সদস্য- মোঃ আলমগীর,সদস্য- মোঃ শাহিন,
সদস্য- মোঃ আইয়ুব আলী,সদস্য- মোঃ শফিকুল ইসলাম তুহিন,সদস্য- টিং টিং মার্মা ও সদস্য- মোঃ সাগর।
শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট- ২০২৫ এর পরিচালনা কমিটির আহবায়ক- মোঃ আইয়ুব আলী কোম্পানী বলেন, এ টুর্নামেন্টে সারা বাংলাদেশ থেকে ফুটবল টিম নিয়ে অংশগ্রহন করতে পারবে। সকল ফুটবল খেলোয়াডদের অংশগ্রহন করার জন্য আহবান করছি। এ ছাড়া ফুটবল প্রেমী সকল দর্শকদের লামা চাম্পাতলী মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ খেলা দেখার অনুরোধ করেন।
ফুটবল খেলার উপকারিতাঃ
মানব শরীরের জন্য যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা খেলাধুলা হচ্ছে মহৌষধ।মানুষের শরীর ও মনকে সুস্থ সচল রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। প্রাচীনকাল থেকেই খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষ যেমন তার শারিরীক সুস্থতা নিশ্চিত করেছে তেমনি তার মানসিক প্রফুল্লতারও বিকাশ ঘটিয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। প্রফেশনাল ফুটবলের বাইরে ছেলে বুড়ো সকল বয়সের মানুষ অতি আনন্দ ও উৎসাহের সাথে ফুটবল খেলে থাকে। মানবদেহের জন্য ফুটবল খেলার রয়েছে অসীম উপকারিতা। এই উপকার সাধিত হয়ে থাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে। আজকে আমরা জানবো ফুটবল খেলার উপকারিতাঃ
ফুটবল খেলার শারীরিক উপকার অপরিসীম। ফুটবল খেলা এমন একটি ব্যায়াম যার মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি অংশের সঞ্চালন সংগঠিত হয়। ফুটবল খেলার অন্যতম মৌলিক অংশ হচ্ছে দৌড়। ফূটবল খেলার মাধ্যমে প্রতিটি খেলোয়াড়ই একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব দৌড়িয়ে থাকেন। আর এই দৌড়ানোর মাধ্যমে নিজের গতি যেমন বাড়ানো যায় তেমনি বাড়ানো যায় নিজের স্ট্যামিনা।
ফুটবল খেলায় দৌড়ানোর ফলে হৃদপিণ্ড ও মাংশপেশির সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ও পর্যায়ক্রমিক শ্বাস প্রশ্বাসের কারনে হার্ট বিট রেট বৃদ্ধি পায়। হার্টের কোনো রোগে ভোগার সম্ভাবনা কমে যায়।ফুটবল খেলার মাধ্যমে একজন খেলোয়াড় গড়ে ৮ থেকে ১১ কিলোমিটার দৌড়ায়। এর ফলে একটা দারুন কার্ডিওভাস্কুলার এক্সারসাইজ হয়। অনবরত মুভমেন্টের ফলে হার্টের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং এক্সট্রা ক্যালোরি বার্ন হয়।
ফুটবল হলো এগারো জনের দুটি দুলের মধ্যে একটি বায়ুপূর্ণ চামড়ার বলকে পা ও মাথার সাহায্যে পরস্পরের গোলসীমানার দিকে নিক্ষেপের খেলা।
ফুটবলঃ
ফুটবল মাঠ আয়তাকার এবং দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে তার মাপ ৯০-১১০ মিটার × ৪৫-৯০ মিটার। মাঠের দুইপ্রান্ত রেখা বা গোললাইনের মাঝামাঝি স্থানে ৭.৩২ মিটার ব্যবধানে দুটি খুঁটি বা গোলপোস্ট থাকে। গোলপোস্টের উচ্চতা ২.৪৪ মিটার এবং এর ওপরে আড়াআড়িভাবে একটি ক্রসবার থাকে। প্রতিটি গোলপোস্ট থেকে ৫.৫ মিটার দূরত্বে স্থাপিত এবং ৫.৫ মিটার দীর্ঘ দুটি সরল রেখাকে আরেকটি সরলরেখা দিয়ে যুক্ত করে চিহ্নিত করা হয় গোল এরিয়া। একইভাবে গোলপোস্ট থেকে ১৬.৫ মিটার দূরত্বে চিহ্নিত এলাকাকে বলা হয় পেনাল্টি এরিয়া। একটি আদর্শ ফুটবলের পরিধি ৬৮.৫-৭১ সেন্টিমিটার এবং এর ওজন ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম।
মাঠের খেলায় প্রত্যেক দলে এগারো জন করে খেলোয়াড় থাকেন। এদের মধ্যে একজন থাকেন গোলকিপার, নিজেদের পেনাল্টি সীমানার ভেতর তিনিই কেবল হাত দিয়ে বল ধরতে পারেন। এক পক্ষের গোলবারের ভিতর দিয়ে বল চলে গেলে প্রতিপক্ষ একটি গোল পায়। এভাবে ৯০ মিনিটের খেলায় যে পক্ষ বেশি গোল পায় তাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। বল মাঠের বাইরে গেলে লাথি মেরে বা হাত দিয়ে নিক্ষেপ করে আবার খেলা শুরু করতে হয়। খেলা পরিচালনার জন্য একজন রেফারি ও দুজন সহকারী রেফারি থাকেন।