এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন,লামাঃ
লামা উপজেলায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আবারো ২ জন তামাক চাষী ও ৬ জন তামাক শ্রমিক সহ মোট ৮ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে সরই ইউনিয়নের লেমুপালং এলাকায় এই অপহরণের ঘটনাটি ঘটে।
অপহৃত তামাক চাষীরা হলেন,মোঃ আমিন (৩৭) ও মোঃ ভুট্টু (৩১)। বাকী ৭ জন শ্রমিক। তাদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিবাগত রাত ১টা দিকে বেশ কিছু লোক অস্ত্র নিয়ে লেমুপালং এলাকায় আসে। পরে আমিন ও ভুট্টুর খামার বাড়িতে মোটা অংকের চাঁদার দাবি করেন। দাবীকৃত চাদা দিতে না পারলে ৮ তামাক শ্রমিকদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদেরকে ছেড়ে দিতে মুক্তিপণ দাবি করছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ যে গত ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্গম বমুখাল এলাকায় সশস্ত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা ৩টি খামার বাড়ি থেকে ৭ জন তামাক শ্রমিক, ২ ফেব্রুয়ারি গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান এলাকা থেকে ৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। গত ২৭ জানুয়ারি উপজেলার সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর সময় স্থানীয়রা অস্ত্রসহ মংএনু মার্মা (৩৪) নামের এক পাহাড়ী সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এছাড়া গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুং ঝিরি এলাকার ৬টি রাবার বাগানে কর্মরত ২৬ জন শ্রমিককে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করেছিল। পরে অপহরণ হওয়া শ্রমিকদের মুক্তিপণ মাধ্যমে ছেড়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে সরই পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ আতিকুর রহমান জানান,অপহৃত তামাক চাষী ও শ্রমিকদের উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান শুরু করেছে। মুক্তিপণের জন্য তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানায় অপহৃতদের স্বজনরা।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গভীর রাতে আট জনের অপহরণের ঘটনা জেনেছি অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে ।