1. khageshprati@gmail.com : khageshprati Lama : khageshprati Lama
  2. paharerkonthosor@gmail.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  3. info@www.paharerkonthosor.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
লামায় খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ১লাখ টাকা নেওয়ার এক বছর পর স্ট্যাম্পে ৫ লাখ টাকা লিখে জোর করে বসতঘর দখলের ঘটনা ঘটেছে, স্বাক্ষী না দেওয়ায় স্বাক্ষীসহ বাদীকে মারধর লামায় বিপ্লবী সরকার আসার পর বসতবাড়ী ও সৃজিত বাগান কেটে লুট করার ঘটনায় ৮ মাস পর আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ সফলতায় এগিয়ে যাচ্ছে লামা মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ লামায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে মুরুইতং হিল রিসোর্টে নিয়ে বেঁধে রেখে মুক্তিপণ দাবীর ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে, আসামী ৫ জন লামায় আবারো ৮ তামাক চাষীকে অপহরণ, গত ৪ মাসে ৪০ জন অপহৃত লামায় এপেক্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ লামায় একটি গাছ বাঁচিয়ে দিয়েছে বাসে থাকা ৩৪ যাত্রীর প্রাণ, আহত ২৫ এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া’র উদ্যোগে ঈদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবানের উদ্যোগে মাসব্যাপি ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরন সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত লামার ৩ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রেখে রাবার ফ্যাক্টরী স্থাপনের চেষ্টা, ক্ষতি হবে মানুষের বসবাসের

“শত বছরের পুরোনো জগত চন্দ্র মহাজনের পান্থশালা”

পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

ইতিহাসের কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনো দাড়িয়ে আছে খান পটিয়ার খাঁন মোহনায় এ মহাজন বাড়ী।

প্রায় ১০০ বছর আগের কথা। গ্রামগঞ্জে তখন সড়ক যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। সংগত কারণে মানুষের যাতায়াত ছিল মূলত হেঁটে। বণিক-সওদাগরেরাও তাঁদের পণ্যসামগ্রী বজরা নৌকায় ভরে দূর-দূরান্তের হাটবাজারে নিয়ে যেতেন নদীপথে। সাপ্তাহিক হাটের বেচাকেনা শেষে তাঁরা আবার যাত্রা করতেন পরের গন্তব্যে। এই সময়ে কারও রাত্রিযাপনের প্রয়োজন দেখা দিত। কিন্তু এখনকার মতো হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট কিংবা রেস্টহাউসের অস্তিত্ব তখন ছিল না। তাই পথচারীদের আশ্রয়স্থল ছিল জমিদারের পান্থশালা।

এই ধরনের শতাব্দী প্রাচীন একটি পান্থশালার অস্তিত্ব কোনোমতে টিকে আছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভূষি ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া গ্রামে। প্রয়াত জমিদার জগৎ মোহন মহাজন পান্থশালাটি নির্মাণ করেছিলেন এলাকার খানমোহনা খালের পাড়ে। খালের উল্টো দিকে ছিল কৃষ্ঠাখালী বাজার, যেটি সপ্তাহের প্রতি সোম ও শুক্রবার জমজমাট থাকত। পান্থশালা নির্মাণের সময় পাশে প্রায় চার একর আয়তনের বিশাল এক দিঘিও খনন করা হয় আশ্রয় নেওয়া লোকজনের সুপেয় আর ব্যবহারের পানির প্রয়োজনে।

এলাকার লোকজন বলছেন, এই খানমোহনা খাল ধরেই একসময় সওদাগরি নৌকা চলত। দূর-দূরান্তের লোকজনের যাতায়াতও ছিল এই খাল ধরে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পণ্যের পসরা নিয়ে কর্ণফুলী নদী হয়ে বোয়ালখালী খাল, চানখালী খাল, খানমোহনা খাল ধরে নিত্য চলাচল করতেন। সময়ের বিবর্তনে এখন খানমোহনা খাল শুকিয়ে নালায় রূপ নিয়েছে। পাশের বাজারটিও আর বসে না। এখন মানুষ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে সহজেই চার কিলোমিটার দূর পটিয়া সদরে গিয়ে নিজেদের মনমতো বাজার-সদাই করছেন। সময়ের বিবর্তনে এখন পান্থশালার প্রয়োজনও ফুরিয়ে গেছে। তাই ইট-সুরকির দোতলা টিনের চালের দালানঘরটি কোনোমতে টিকে আছে অনাদর-অবহেলায়।

জমিদার জগৎ মোহন মহাজন পান্থশালাটি নির্মাণ করেন ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে। ব্রিটিশ আমল থেকেই দক্ষিণ চট্টগ্রাম এলাকার প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সেই জগৎ মোহন মহাজনের পান্থশালায় বসে পানি পানসহ খাওয়া-দাওয়া করতেন। আবার পান্থশালার দোতলায় বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। কালের বিবর্তনে তাঁদের জমিদারি জায়গা-সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৯৪৬ সালে জগৎ মোহন মহাজন মারা যান তিন পুত্র ও দুই কন্যা রেখে। এক ছেলে সুনীল চন্দ্র চৌধুরী পটিয়া ডেঙ্গাপাড়া গ্রামেই থাকেন। এখানে জরাজীর্ণ একটি মাটির ঘরে মহাজনের পরিবারের বংশধরদের বসবাস। অন্য দুই ছেলে চট্টগ্রাম শহরে চলে গেছেন অনেক আগেই।

(সাংবাদিক এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিতঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।