1. khageshprati@gmail.com : khageshprati Lama : khageshprati Lama
  2. paharerkonthosor@gmail.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  3. info@www.paharerkonthosor.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
লামায় খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ১লাখ টাকা নেওয়ার এক বছর পর স্ট্যাম্পে ৫ লাখ টাকা লিখে জোর করে বসতঘর দখলের ঘটনা ঘটেছে, স্বাক্ষী না দেওয়ায় স্বাক্ষীসহ বাদীকে মারধর লামায় বিপ্লবী সরকার আসার পর বসতবাড়ী ও সৃজিত বাগান কেটে লুট করার ঘটনায় ৮ মাস পর আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ সফলতায় এগিয়ে যাচ্ছে লামা মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ লামায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে মুরুইতং হিল রিসোর্টে নিয়ে বেঁধে রেখে মুক্তিপণ দাবীর ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে, আসামী ৫ জন লামায় আবারো ৮ তামাক চাষীকে অপহরণ, গত ৪ মাসে ৪০ জন অপহৃত লামায় এপেক্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ লামায় একটি গাছ বাঁচিয়ে দিয়েছে বাসে থাকা ৩৪ যাত্রীর প্রাণ, আহত ২৫ এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া’র উদ্যোগে ঈদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবানের উদ্যোগে মাসব্যাপি ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরন সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত লামার ৩ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রেখে রাবার ফ্যাক্টরী স্থাপনের চেষ্টা, ক্ষতি হবে মানুষের বসবাসের

গিজার মরুভূমির ফারাও খুফুর নৌকা

পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে
গিজার মরুভূমির ফারাও খুফুর নৌকা

এটি হলো খুফুর নৌকা। ১৯৫৪ সালের ২৪ এপ্রিল গিজার মরুভূমির দক্ষিণ দিকে ফারাও খুফুর পিরামিডের পাশেই কাজ করছিলেন আরকিয়োলজিস্ট মোহাম্মদ জাকি আর তার সহকারী গারাস ইয়ানি। ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া এক্সকাভিশনগুলির কারণে তৈরি হওয়া আবর্জনা সরাছিলেন তারা। কিন্তু এইসব ছাইপাশ ঘাটতে ঘাটতেই তাদের হাতে চলে এলো এক অমূল্য রত্ন। সেখানে তারা খুঁজে পেলেন অনেকগুলো বিশাল আয়তকার চুনাপাথরের টুকরো। পাশাপাশি একে অপরের গায়ে লাগানো টুকরো গুলো দেখেই মনে হচ্ছিল মাটির নিচে কোনো গোপন কক্ষের উপর ঢাকনার কাজ করছে ওগুলো।
২৫শে মে ১৯৫৪ সালে সেই ঢাকনা সরিয়ে ভেতরে ঢোকার দিন স্থির হল। তবে ওই দিনই মোহাম্মদ জাকির জীবনে নেমে এলো অন্ধকার। তার ছোট্ট মেয়েটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল। অবশেষে সে মারা গেল। জাকি আর এই কাজে ফিরলেন না।
এরপর গারাস ইয়ানি তার সঙ্গী কামাল ইয়ানির সঙ্গে মিলে সেই পাথরের ছাই উপর থেকে ভেঙে ফেললেন। কিছুদিনের মধ্যেই সেই গর্ত থেকে আবিষ্কার হল ১২২৪টা সিডার কাঠের টুকরো।
তবে প্রাথমিকভাবে বোঝা গেল না এই কাঠের টুকরো গুলি ঠিক কি কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল?

সেই রহস্য উদ্ঘাটনার জন্য ডাক পরল আহমেদ ইউসুফ নামের মিশরীয় আরকিটেক্ট’এর। লোকটা প্রাচীন ধ্বংসস্তূপ থেকে খুঁজে পাওয়া পৃথক হয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রকে একত্র করে তার রুপ দেওয়ার ক্ষেত্রে এক এবং অদ্বিতীয়। এরপর প্রায় ছ-মাস ধরে প্রচেষ্টার পর আহমেদ ইউসুফ এই ১২২৪টা আলাদা আলাদা সিডার কাঠের টুকরোকে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করলেন এক নৌকা। কাঠের কার্বন ডেটিং করে জানা গেল এই নৌকা চলাচলের সময়কাল।
একে তো খুফুর পিরামিডের পাশে খুঁজে পাওয়া কাঠের টুকরো, তার ওপর সময়কালও হুবহু মিলে গেল ফারাও খুফুর রাজত্বকালের সময়ের সঙ্গে।সবশেষে একটি কাঠের টুকরোর গায়ে খুঁজে পাওয়া গেল হাইরোগ্লিক হরফে লেখা ফারাও খুফুর নাম। অতএব একে একে দুই করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা নিশ্চিত হলেন, এই নৌকা হল ফারাও খুফুর নৌকা।
তবে খুব সম্ভবত ফারাও ফুফু কখনো এই নৌকা চড়েননি। আসলে এই নৌকা তার মৃত পিতাকে উৎসর্গ করেছিলেন খুফুর পুত্র জেদেফ্রে। শেষ অবধি এমন ধারণাই দিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এই ধারণার পেছনে রয়েছে প্রাচীন মিশরের এক আশ্চর্য ধর্মীয় প্রথা…

[এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন]

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিতঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।